
বর্তমানে নতুন কম্পিউটার গুলোতে বায়োস এর পরিবর্তে নতুন ইউইএফাই (UEFI) ব্যবহার করা হচ্ছে। বায়োস এবং ইউইএফাই উভয়ে লো লেভেল সফটওয়্যার হোলেও এই দুইয়ের মদ্ধে বেশ কিছু পার্থক্য আছে । কম্পিউটার চালু হওয়ার পূর্বে এগুলো কাজ করে। কিন্তু ইউইএফাই বায়োসের তুলনায় অনেক আধুনিক, মর্ডান, দ্রুত এবং নিরাপদ।

বায়োস কি?
বায়োস এর পূর্নরুপ হল ব্যাসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম (Basic Input Output System)। এটি ১৯৭৫ সালে প্রথম ব্যবহার করা হয়। বায়োস একটি লো-লেভেল সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে যুক্ত থাকে। কম্পিউটার স্টার্ট হবার সময় বায়োস লোড হয় এবং এর কারনেই আপনার কম্পিউটার স্টার্ট হয়। কম্পিউটার স্টার্ট হবার আগে এটি চেক করে দেখে সকল হার্ডওয়্যার এবং সিস্টেম ঠিকমত কাজ করছে কিনা, যদি কাজ করে তাহলে বুটলোডার চালু হয় তারপর বুটলোডার ইন্সটল করা অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চালু করে, কিন্তু যদি কম্পিউটার ডুয়াল বুট করা থাকে তাহলে আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমে বুট করতে চান সেই অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চালু হয়। আর যদি কোন হার্ডওয়্যার/সিস্টেম ঠিকমত কাজ না করে তাহলে একটি বিপ সাউন্ড হয়, ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সাউন্ড এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কোন সাউন্ডের কি মানে। বায়োস থেকে আপনি বিভিন্য হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন করতে পারেন। বায়োসে ঢুকার জন্য একটি নির্দিষ্ট বাটন চাপতে হয় (বিভিন্য কম্পিউটারে বিভিন্য বাটন নির্ধারন করা থাকে)।
dfgfd
ইউইএফাই কি?
ইউইএফআই এর পূর্নরুপ হল ইউনিফাইড এক্সটেনসিবল ফার্মওয়্যার ইন্টার্ফেস (Unified Extensible Firmware Interface)। এটি ১৯৯৮ সালে তৈরি করা হলেও ২০০৫ সালে প্রথম ব্যাবহার করা হয়। বায়োসের পরিবর্তে এখন কম্পিউটারে এটি ব্যবহার করা হয় এবং এটিও মাদারবর্ডে যুক্ত থাকে। সাধারনত এটিও বায়োসের মতই কাজ করে। কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় সকল হার্ডওয়্যার এবং সিস্টেম চেক করে দেখে কোন সমস্যা না থাকলে কম্পিউটার সফলভাবে স্টার্ট হয় আর ডুয়াল বুট থাকলে কোন অপারেটিং সিস্টেমে স্টার্ট হবে তা জানতে চায়। কিন্তু যখন কোন হার্ডওয়্যারে সমস্যা থাকে তখন এটি বায়োসের মত বিপ সাউন্ড করেনা বরং কোন হার্ডওয়্যারে/সিস্টেমে কি সমস্যা তা দেখায় এক্ষেত্রে আপনাকে কোন সাউন্ডের মানে জানতে হয়না। এছাড়াও এর ইন্টার্ফেস অনেক সুন্দর এবং সহজ যা যে কেও সহজে বুজতে পারে এবং সেটিংস করতে পারে।

rgtrgrgrt
jgjghjgh